বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলেও আর সুযোগ নেই: ইসি আলমগীর

বিএনপি এখন নির্বাচনে আসতে চাইলেও সংবিধান অনুযায়ী সেই সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি যদি এখন ভোটে আসতে চায় সে সুযোগ আছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এরকম সুযোগ আছে তা দেখি না। আপাতত আমরা দেখছি না। কারণ হলো সংবিধানে যেহেতু একটি সময় দেওয়া আছে। সে সময়ের পর নির্বাচন করার কোনো উদ্যোগ নির্বাচন কমিশন কখনোই নেবে না। আর আমরা যেটা আগেই বলেছিলাম, আপনাদের মাধ্যমে মনোনয়ন দেওয়ার যে শেষ তারিখ ছিল, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে যদি তারা আসে তখন সেটা রি-শিডিউল করতে পারবো। কিন্তু সে সময়টা এখন অতিক্রান্ত হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে আমাদের পক্ষে কিছু করার নেই।

যদি রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারে সেক্ষেত্রে সম্ভব কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদি রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়, তখন তারা কীভাবে একমত হলো, সংবিধানের মধ্য থেকে সেটা সম্ভব কি না, তারা যদি আমাদের বোঝাতে সক্ষম হয়, তখন দেখা যাবে।

সাধারণ ভোটারদের কোনো আতঙ্ক আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যা দেখেছি জীবনযাত্রা অত্যন্ত স্বাভাবিক। আইনশৃঙ্খলার কোনো সমস্যা নেই। ভোটারদের মধ্যে বেশ ভালো উৎসব-উদ্দীপনা দেখেছি। যারা প্রার্থী, তারাও বেশ মিছিল মিটিং করছেন আনন্দের সঙ্গে। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোথাও কোনো থ্রেট নেই যেখানে নির্বাচনের সমস্যা হতে পারে।

অনেক প্রার্থী সরকারি সুযোগ-সুবিধা নির্বাচনী প্রচারে ব্যবহার করছেন। এ ব্যাপারে ইসির পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে আলমগীর বলেন, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি না এটা ঠিক না। এখন রিটার্নিং অফিসারই কমিশনের পক্ষে তার সব ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। এসব আইন প্রয়োগের ক্ষমতা রিটার্নিং অফিসারের। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের আছে। এতে নির্বাচন কমিশনের মুখাপেক্ষী হওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। প্রথমেই কথা হচ্ছে যারা সংসদ সদস্য আছেন, তাদের স্পষ্ট বলা হচ্ছে নির্বাচনে প্রচারণার ক্ষেত্রে কোনো রকম সরকারি সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করতে পারবেন না। সেটা কঠিন ভাবে বলা আছে। আমি যতগুলো জেলায় গিয়েছি, সেখানেও বলা হয়েছে। যে নির্বাচনী প্রচারণা এবং সরকারি কোনো কার্যক্রম একসঙ্গে দেওয়া যাবে না। রিটার্নিং অফিসাররাও আমাদের কাছে ফোন করেন যদি কোথাও কোনো কনফিউশন বা বুঝতে অসুবিধা হয়।

কোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, অসুস্থ হলে অসুস্থতা পরীক্ষা করে যেমন চিকিৎসা দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হলে সেটা কোন ধরনের অনিয়ম, সেটা কোন আইনে অপরাধ হয়েছে, সে অপরাধ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কমিশন-তো সব ব্যবস্থা নেবে না। মাঠ পর্যায়ে যে কর্মকর্তারা রয়েছেন তাদের সে ক্ষমতা দেওয়া আছে। কোনো অনিয়ম হলে প্রিজাইডিং অফিসার ব্যবস্থা নিতে পারবেন। সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারও ক্ষমতাবান।

মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সে ক্ষমতা প্রয়োগে ব্যর্থ হলে সেক্ষেত্রে আপনারা কী ব্যবস্থা নেবেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা দুই রকমের ব্যবস্থা নেবো। একটি হলো কোথাও ব্যাপক অনিয়ম হলে সেখানে ভোট বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে ভোটকেন্দ্র বাতিল করা হবে। আবার ভোট হবে। অনিয়মের সঙ্গে কোনো প্রার্থী, তার সমর্থকদের অপরাধ সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে ওই ভোট নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত তাদের কোনো যোগাযোগ বা অবহেলা থাকলে আরপিও অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
error: ধন্যবাদ!